ভারতের পর এবার ট্রাম্পের নিশানা এই মুহূর্তে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিন। ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর এবার চিনের উপরও ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।তাঁর দাবি চিন যদি রাশিয়া থেকে পেট্রোলিয়াম কেনা বন্ধ না করে, তাহলে তিনি শুল্ক চাপাবেন। তাঁর ভাষায়, “ রাশিয়ার ওপর বেশ ভালো নিয়ন্ত্রণ আছে চিনের। এই শুল্ক সেই নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দেবে।”
তবে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পাল্টা জবাব দিয়েছে এশিয়ার এই বৃহৎ শক্তি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার ন্যাটো দেশগুলোকে চিনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক চাপানোর আহ্বান জানানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বেজিং কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার স্লোভেনিয়ার রাজধানী লিউব্লিয়ানায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “চিন কোনও যুদ্ধ করে না, যুদ্ধের পরিকল্পনাও করে না। আমরা শান্তির জন্য আলোচনাতেই উৎসাহ দিই এবং তার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উত্তপ্ত সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান খুঁজি।”
চিনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “শতাব্দীর সবচেয়ে বড় পরিবর্তনের সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই ইতিহাস ও মানুষের প্রতি দায়িত্ব।” ওয়াং ই আরও বলেন, “নিষেধাজ্ঞা সমস্যার সমাধান করবে না, বরং জটিলতা বাড়াবে।”
রুশ তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা চিন। এর পরেই ভারত আর তৃতীয় স্থানে তুরস্ক। ৩২টি রাষ্ট্রের ন্যাটো জোটের মধ্যে তুরস্ক, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়াও রুশ তেল কেনে।আর এতেই খাপ্পা ট্রাম্প। তাঁর দাবি, সব ন্যাটো দেশকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, “আমি বিশ্বাস করি ন্যাটো দেশগুলি চিনের উপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাবে। যদিও যুদ্ধ শেষ হলে সেই শুল্ক প্রত্যাহারও করা হবে।” ট্রাম্পের এই শুল্ক হুঁশিয়ারির পরই ওয়াশিংটনকে বার্তা দিয়েছে বেজিং।
