প্রথমে হয়ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ভাবেননি যে এইচ-১বি ভিসা ফি মগডালে তুলে দিলে কী কী সমস্যা হতে পারে। এবার নানা মহলে নানা জটিলতার বিষয় সামনে আসায় ঢোঁক গিলতেই হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনকে। যেমন বিতর্কের পর হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বরের পর জমা দেওয়া নতুন এইচ-১বি ভিসার আবেদনগুলির ক্ষেত্রেই এই ফি প্রযোজ্য হবে এবং এটি বার্ষিক নয়, হবে এককালীন ফি।
তবে এই ভিসা নীতি নিয়ে সরব হয়েছে আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সংস্থার প্রেসিডেন্ট ববি মুখামালা সতর্ক করে বলেছেন যে এমন বিপুল ভিসা ফি দিতে হলে উচ্চশিক্ষিত চিকিৎসকদের আমেরিকায় আসা কমে যাবে। তিনি জোর দিয়ে জানান, এই আন্তর্জাতিক গ্রাজুয়েটরা মার্কিন চিকিৎসা শক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এইচ-১বি ভিসা প্রোগ্রামকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়, কারণ হিসেবমতো আমেরিকার বহু হাসপাতাল বিদেশি প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করে। দূরবর্তী এলাকায় যেখানে মার্কিন প্রশিক্ষিত পেশাদারদের পাওয়া কঠিন সেখানে এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে আসা বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের পাঠানো হয়। ফেডারেল তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে ৭ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি আমেরিকান এমন এলাকায় বাস করেন যেখানে প্রাথমিক চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে।
আরও তথ্য রয়েছে। মার্কিন ইমিগ্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী, মায়ো ক্লিনিক, ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক, সেন্ট জুড চিলড্রেনস রিসার্চ হাসপাতালের মতো বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এইচ-১বি ভিসার বড় স্পনসর। শুধু মায়ো ক্লিনিকেরই ৩০০টিরও বেশি অনুমোদিত ভিসা রয়েছে। এখন যদি প্রাপকদের ভিসার জন্য এত বিপুল অঙ্ক খরচ করতে হয় তাহলে অনেকেই তাতে রাজি হবেন না।
এমন পরিস্থিতিতেই হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেলর রজার্স সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিবৃতিতে বলেছেন যে এই নিয়মে সম্ভাব্য ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যার মধ্যে চিকিৎসক ও মেডিক্যাল রেসিডেন্টরাও অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুটনিক একে ‘প্রয়োজনীয় সংশোধন’ বলে অভিহিত করেছেন।
