আগমনীর সুর ইংল্যান্ডেও। প্রবাসীদের কাছে দুর্গপুজো শুধু উৎসবই নয়, দেশের স্মৃতিও অনেকটা ফিরিয়ে আনে। দু-হাজার পঁচিশ সালের দুর্গাপুজো ঘিরে মেতে বাকিংহামশায়ারের মিল্টন কিনস আনন্দ ক্লাব। যাদের পুজোয় এবার উঠে এসেছে ওয়াল্ট ডিজনি, নন্দলাল বোস এবং যামিনী রায়। শারদোৎসবে তিন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বকে শ্রদ্ধা জানাবে মিল্টন কিনস আনন্দ ক্লাবের সর্বজনীন পুজো।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এই পুজায় দেখা যাবে শান্তিনিকেতনের আলপনা ও যামিনী রায়ের লোকশিল্প। পুজোর দিনগুলিতে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ধরনের খাবার আর তার সঙ্গে থাকছে সারেগামা খ্যাত শিল্পী ইন্দ্রাণী দত্ত ও অভিনেতা-গায়ক জয় ভৌমিকের গান।
মিল্টন কিনস আনন্দ ক্লাবের পুজো শুরু হয়েছিল সেই ১৯৮৯ সালে। মাত্র ১১টি পরিবারের যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া সেই পুজো এখন আড়ে বহরে অনেকটাই বেড়েছে। বিলেতেও দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে একত্রিত হয়েছেন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রবাসী বাঙালিরা। প্রতি বছরের মতো এবারও পুজো ঘিরে যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে, তেমনি সমাজসেবা এবং মানবিক কাজকর্মও বছরভর চালিয়ে যান আনন্দ ক্লাবের সদস্যরা।
মিল্টন কিনসের আনন্দ ক্লাবের দুর্গাপুজো ঘিরে সিম্পসন ভিলেজে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মণ্ডপ। যার অন্দরসজ্জা একেবারে শান্তিনিকেতনের আদলে। নন্দলাল বসুর আলপনা, যামিনী রায়ের লোকশিল্পের ছোঁয়ায় সেজে উঠেছে গোটা মণ্ডপ। ব্যস্ততার মাঝেও বাংলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার যাবতীয় উদ্যোগে হাত লাগিয়েছেন প্রবাসীরাই।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ ছোটদের পরিবেশনায় ‘Once Upon a Dream’। যা ওয়াল্ট ডিজনির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। থাকছে কত্থক-ভরতনাট্যমের যুগবলন্দি। আর ধুনুচি নাচ তো মাস্ট। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রবাসী বাঙালিরা এই পুজো ঘিরেই যেন খুঁজে পান তাঁদের নতুন পারিবারিক বন্ধন। সেই কারণেই বিলিতি গ্রাম, সিম্পসন ভিলেজের মণ্ডপটি সেজে উঠেছে একটুকরো শান্তিনিকেতনের আদলে।