টেক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের নাম উঠে এল বিতর্কিত জেফ্রি এপস্টিন ফাইলসে। তাতে আরও কয়েকজন হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বের নাম রয়েছে, যেমন বিল গেটস ও ট্রাম্পের সহযোগী স্টিভ ব্যানন রয়েছেন তালিকায়। ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের প্রকাশিত নতুন ছয় পৃষ্ঠার এক নথিতে দেখা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মাস্কের এপস্টিনের মার্কিন ভার্জিন আইল্যান্ডের দ্বীপে যাওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় নাম রয়েছে। সেই সময় আইল্যান্ডের অনেক মহিলা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন। নথিতে মাস্কের নামের পাশে লেখা ছিল — “Is this still happening?” তবে তিনি সত্যি সেখানে গিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়। ইলন মাস্ক অবশ্য এই দাবি অস্বীকার করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “এটা মিথ্যা”।
ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত এপস্টিনের ক্যালেন্ডারে আরও দেখা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে ব্রেকফাস্টের পরিকল্পনা এবং ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বিল গেটসের সঙ্গে ব্রেকফাস্টের সম্ভাব্য সময়সূচিও। মার্কিন বিচার বিভাগকে এপস্টিন তদন্তের সব নথি প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক নেতারা।
যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছেন, এরকম কোনও “ক্লায়েন্ট লিস্ট” নেই। এটি দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত সেই ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে। ষড়যন্ত্রে বলা হয়েছিল এপস্টিন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্ল্যাকমেল করতেন, যার মধ্যে ডেমোক্র্যাট নেতারাও ছিলেন।
এলন মাস্ক আগেও ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন। ২০০৩ সালে ট্রাম্প এপস্টিনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে মাস্ক এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক সময় মাস্ক এক পোস্টে দাবি করেন, ট্রাম্পের নামও এপস্টিন ফাইলসে রয়েছে, আর সেটাই নথি গোপন রাখার কারণ। পরে তিনি স্বীকার করেন ওই পোস্ট মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের জেরে ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর, এপস্টিন ফাইল প্রকাশ না করার জন্য মাস্ক একাধিকবার রিপাবলিকান নেতার সমালোচনা করেন। এক পোস্টে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এপস্টিনের বিমানে কারা মার্কিন ভার্জিন আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন, তার কোনও সরকারি বা বাণিজ্যিক কম্পিউটার রেকর্ড কি নেই?”
এই ঘটনায় আবার এপস্টিন ফাইলকে ঘিরে বিতর্ক আরও একবার তীব্র হয়ে উঠেছে।