
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির একটি একতরফা জয় অর্জন করেছে। মোট ২৬টি পদে ২৪টি পদ তারা দখল করেছে। বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মাত্র একটিতে জিতেছে, আর একটি পদে বিজয়ী হয়েছেন নির্দল প্রার্থী।
সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরকাড়া জয় পাওয়ার পর চট্টগ্রামে কার্যত অন্য সব সংগঠনকে পেছনে ফেলে দিল ইসলামী ছাত্রশিবির। গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তারা দখল করেছে। অন্যদিকে, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ অন্যান্য দলীয় প্রার্থী কেবল সামান্য সংখ্যক পদে সফল হয়েছে।
১৯৮১ সালের পর এটি প্রথমবার যে জামাতপন্থী ছাত্রসংগঠন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এত বড় জয় লাভ করল। ওই সময় চট্টগ্রামে বিদ্রোহী সেনাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান। এর পর চার দশকেরও বেশি সময়ে জামাতের ছাত্রসংগঠন শক্তিশালী প্রভাব তৈরি করতে পারেনি।
এই বিজয়কে অনেকেই চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি জাতীয়তাবাদের ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাচনের ফলাফলে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিক দলে ভরপুর হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং অংশগ্রহণও দৃশ্যমান হয়েছে।
বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে এই জয়ের প্রভাব ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে তা এখন দেখার বিষয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর চট্টগ্রামের এই জয় জামাতপন্থী ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক শক্তিকে নতুন মাত্রা দেবে এবং অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।
ছাত্ররাজনীতি, দলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দলীয় ছাত্রশাখার ফলাফলের বিশ্লেষণ থেকে বোঝা যায়, ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজনৈতিক প্রভাবের ভারসাম্য পরিবর্তিত হতে পারে।
