ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে চলেছে কেরলের পলক্কড়ের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ অনুমোদন করেছেন। এর ফলে গভীর উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছেন প্রিয়ার পরিবার। নিমিশা প্রিয়া ২০১৪ সালে স্বামী ও কন্যাসন্তানকে ভারতে পাঠিয়ে ইয়েমেনে একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় নাগরিক তলাত আবদো মেহদির সঙ্গে পার্টনারশিপে ক্লিনিক খোলেন তিনি। তবে মেহদির সঙ্গে মতপার্থক্য দেখা দেয়। অভিযোগ, মেহদি তাঁর পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে তাঁকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতেন এবং নানা অত্যাচার করতেন। ২০১৭ সালে মেহদিকে ঘুমপাড়ানি ইনজেকশন দিয়ে পাসপোর্ট উদ্ধার করতে চান প্রিয়া। কিন্তু ইনজেকশনের ওভারডোজে মেহদির মৃত্যু হয়। মেহদির দেহ টুকরো করে ক্লিনিকের ট্যাঙ্কে রেখে প্রিয়া পালিয়ে যান।
এরপর ২০১৮ সালে নিমিশা প্রিয়াকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন খারিজ হয়। এখন রাষ্ট্রপতির নির্দেশ অনুসারে, এক মাসের মধ্যেই ফাঁসি কার্যকর হওয়ার আশঙ্কা। পরিস্থিতি দেখে ভারত সরকার প্রিয়ার জন্য যথাসাধ্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে, ইরানও ইয়েমেনের সঙ্গে আলোচনায় সাহায্যের বার্তা দিয়েছে। প্রিয়ার স্বামী কাতর কণ্ঠে বলেছেন, “এখন শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের ক্ষমা চাই। ওঁকে ছাড়া বাঁচা সম্ভব নয়।”
ইতিমধ্যে নিমিশার মা ইয়েমেনের সানা-তে উপস্থিত রয়েছেন। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও এই ঘটনার প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে, প্রিয়ার জীবন বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা সময়ই বলবে।
