
প্রবাসে উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ৩০ বছরের বিজয় কুমার শেওরান। কিন্তু সেই স্বপ্নই শেষ হয়ে গেল ভয়াবহ এক ছুরিকাঘাতে। ২৫ নভেম্বর ভোরে ইংল্যান্ডের উস্টার শহরের বারবর্ন রোড থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি নিয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে তাঁর পরিবার ও স্বজনদের উপর।
হরিয়ানার চরখি দাদরির জাগরামবাস গ্রামের বাসিন্দা শেওরান কয়েক মাস আগেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ এক্সাইস অ্যান্ড কাস্টমস-এর সরকারি চাকরি ছেড়ে যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। ব্রিস্টলের ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড (UWE)-এ ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। পড়াশোনা আর উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের আশায় বিদেশে পাড়ি দিলেও নির্মম পরিণতি তাঁর জীবনকে থামিয়ে দেয়।
ঘটনার তদন্তে স্থানীয় পুলিশ ছয় জনকে আটক করেছিল। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে পরে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একজনকে পুলিশ কোনো অভিযোগ ছাড়াই ছেড়ে দিয়েছে। গোটা ঘটনার নেপথ্য কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ তদন্ত জারি রেখেছে এবং এলাকাবাসীর কাছে সিসিটিভি ফুটেজ বা তথ্য দিতে আবেদন জানিয়েছে।
বিজয়ের ভাই রবি কুমার ভারতের বিদেশমন্ত্রককে চিঠি লিখে দ্রুত পদক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন। দেহ দেশে ফিরিয়ে আনা, বিদেশের আইনি প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পরিবার বিপাকে পড়েছে। অভিযোগ, আর্থিক ও প্রক্রিয়াগত জটিলতা তাদের অসহায় করে তুলেছে। তাই ভারতীয় হাই কমিশনের সক্রিয় হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
হরিয়ানার বিজেপি বিধায়ক সুনীল সৎপাল সাঙ্গওয়ান শোকপ্রকাশ করে দ্রুত তদন্ত ও দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানিয়েছেন। পরিবারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিদেশে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠল বিজয় শেওরানের মর্মান্তিক মৃত্যুতে। তরুণের স্বপ্ন আর একটি পরিবার দুটোই থেমে গেল এক অকারণ সহিংসতায়।
