রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি অবশেষে মিটল। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর দলবিরোধী মন্তব্যের জেরে তিনি দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই তিক্ত হয়েছিল যে, তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও ডাকা হয়নি তাঁকে। এমনকি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের কাছে তিনি বিরোধী বেঞ্চের শেষ আসনের জন্য আবেদন করেছিলেন।
তবে এবার পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। সুখেন্দুশেখর রায়কে নয়াদিল্লিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মধ্যস্থতায় এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আজ সকালে তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং বিকেলের সাংসদদের বৈঠকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ দেন।
আরজি কর ঘটনার পর একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য এবং পোস্টের কারণে তাঁকে লালবাজারেও তলব করা হয়েছিল। তখন থেকেই দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়। তবে সাংসদ পদ ধরে রাখতে তিনি নিজেই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন। কুণাল ঘোষ তাঁকে পরামর্শ দেন ভুল স্বীকার করে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখার জন্য। চিঠিতে তিনি লেখেন, “আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। মেয়ের বাবা হিসেবে আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে ব্যথিত ছিলাম। বিভ্রান্ত হয়েছিলাম। আর এমন হবে না।”
অন্যদিকে, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যসভার উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হয়েছে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান সুরক্ষিত রাখতে সুখেন্দুশেখর রায় সম্পর্ক মেরামতের সিদ্ধান্ত নেন। সব ঠিক থাকলে, তিনি আবার তৃণমূলের মূলস্রোতে ফিরে আসছেন।