নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ আনল ইডি। তাদের চার্জশিটে বলা হয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রিম দিয়ে একাধিক ফ্ল্যাট বুক করতেন পার্থ। তবে কোনো ফ্ল্যাট পুরোপুরি কিনতেন না। এভাবেই নিজের সম্পত্তি বৃদ্ধি এবং দুর্নীতির টাকা ‘সাদা’ করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন তিনি।
ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, ইমপ্রোলাইন কনস্ট্রাকশনস প্রাইভেট লিমিটেড ও এইচআরআই ওয়েলথ ক্রিয়েশন রিয়েলটরস প্রাইভেট লিমিটেড নামে দুটি সংস্থা ব্যবহার করতেন পার্থ। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কলকাতা এবং শহরতলিতে বহু ফ্ল্যাট বুক করেছিলেন তিনি। নির্মাণ সংস্থাগুলির কাছে ৫ থেকে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অগ্রিম দিয়ে ফ্ল্যাট বুকিং করলেও, কখনোই পুরো অর্থ পরিশোধ করেননি। ইডি জানিয়েছে, পার্থ নিজের নাম ব্যবহার না করে রাজীব দে নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে ফ্ল্যাট কেনাবেচার কাজ করাতেন।
একাধিক নির্মাতা সংস্থা যেমন রিভারব্যাঙ্ক ডেভেলপার্স, ইডেন রিয়্যাল এস্টেট, অম্বুজা নেওটিয়া, আইডিয়াল রিয়্যাল এস্টেট, এসকেডিজে গ্রুপ ইডিকে জানিয়েছে, পার্থের সংস্থা বুকিংয়ের পর বাকি টাকা দেয়নি। রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে বুকিং বাতিল করতে সাহস পায়নি তারা।
ইডি জানায়, পার্থের সংস্থাগুলি বুকিং বাতিল হওয়া সত্ত্বেও জমি এবং ফ্ল্যাটের অগ্রিম অর্থ ফেরত নেয়নি। ইমপ্রোলাইনের জমি ও অর্থ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সংস্থা।
এই কেলেঙ্কারি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ইডির চার্জশিট অনুযায়ী, দুর্নীতির টাকা সম্পত্তিতে বিনিয়োগের কৌশল হিসেবে ফ্ল্যাট বুকিংয়ের মাধ্যম ব্যবহার করতেন পার্থ।