বিদ্রোহ ও সামরিক শাসনের জেরে ইমপিচমেন্ট হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন ঘোষণা করে বিতর্কের মুখে পড়েন ইয়ুন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সংসদের চাপের মুখে সামরিক শাসন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেও তার ফল এড়াতে পারেননি।সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইয়ুনের সিওলস্থ হান্নাম-ডংয়ের বাসভবন থেকে সোমবার সকালে তাঁকে দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ গ্রেফতারির পর বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বলেছে, “সাংবিধানিক শৃঙ্খলা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এটি একটি বড় পদক্ষেপ।”
ইয়ুন দাবি করেছেন, “আমার বিরুদ্ধে বেআইনি তদন্ত চলছে। তবে রক্তপাত এড়াতে নিজেকে সঁপে দিয়েছি।” আইনজীবীরা গ্রেফতারি এড়ানোর চেষ্টা করলেও দুর্নীতি-বিরোধী এজেন্সি তা খারিজ করে দেয়। বুধবার ভোরে বড় অভিযানের পর ৩,২০০ পুলিশ অফিসার মোতায়েন করে তাঁকে আটক করা হয়।ইমপিচমেন্টের আগে, ইয়ুন ২০২২ সালে সামান্য ব্যবধানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন। কিন্তু সামরিক শাসনের ঘোষণার পর তাঁর জনপ্রিয়তায় ধস নামে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই গ্রেফতারি দক্ষিণ কোরিয়ায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
১৯৮০ সালের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো সামরিক শাসনের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইয়ুন, যা দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়িয়ে তোলে। এখন ইয়ুনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।