কলকাতা হাই কোর্টে রাজ্য সরকার সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে ট্রায়াল কোর্টের রায় চ্যালেঞ্জ করল। আজ দেবাংশু বসাকের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের এই আবেদন গ্রহণ করেছে।
গতকাল শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। বিচারক বলেন, এই মামলা বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, রাজ্য এই রায়কে উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করবে। আজ অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত হাই কোর্টে এই মামলা দায়ের করেন। শীঘ্রই সঞ্জয়ের সাজা সংক্রান্ত শুনানি হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৩, ৬৪ এবং ১০৩ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বিচারকের নির্দেশ অনুযায়ী, সঞ্জয়কে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১৭ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই পাঁচটি পকসো মামলায় ফাঁসির রায় হয়েছে। তাই সঞ্জয়ের ফাঁসি চেয়ে অধিকাংশ মানুষ দাবি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী থেকে বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার—সকলেই ফাঁসির দাবি তুলেছেন।
বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, আদালতের কাজ জনগণের আবেগ বা চাপ নয়, ন্যায়ের বৃহত্তর স্বার্থ রক্ষা করা। আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপরই মনোনিবেশ করেছে। এখন হাই কোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।