বহরমপুরের রানি বাগান এলাকায় রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুকুমার অধিকারীর (৬৯) মৃতদেহ। বুধবার সকালে এক অভিজাত হোটেলের পাশের গলিতে তাঁর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে এটি খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, সুকুমার অধিকারী বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন এবং এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি বোতল উদ্ধার হয়েছে, যা দেখে অনুমান করা হচ্ছে যে তিনি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। যদিও এটি হত্যা কিনা, সে বিষয়েও সন্দেহ উড়িয়ে দিচ্ছে না তদন্তকারীরা। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের মতে, ব্যস্ততম রাস্তায় কেউ আত্মহত্যা করে না। তাহলে সুকুমারবাবু এখানে এলেন কেন? তিনি কি ওই হোটেলে গিয়েছিলেন? যদি আত্মহত্যা হয়, তাহলে বাড়ি থেকে দূরে এসে কেন? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। পাশাপাশি, রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না দলের নেতারা।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, তিনি কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন এবং বড় অঙ্কের ঋণের চাপে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তবে তদন্তকারীরা তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর কোনও যোগসূত্র আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারীরা।