গ্রামীণ কর্মসংস্থানের আশায় চোখ রেখেছিল দেশ। কিন্তু নির্মলা সীতারামনের বাজেট হতাশ করল। ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বরাদ্দ এক টাকাও বাড়ল না। কেন্দ্রের যুক্তি, প্রকল্পটি চাহিদা অনুযায়ী অর্থ পায়। তবে বাস্তব বলছে ভিন্ন কথা।
গ্রামবাংলায় কাজের আকাল। বকেয়া টাকা না মেলায় প্রকল্পের গতি শ্লথ। রাজ্যের অভিযোগ, কেন্দ্র ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় এই প্রকল্প বন্ধ রেখেছে। এই নিয়ে সরব তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের তহবিল থেকে শ্রমিকদের কিছু টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু মূল সমস্যা মেটেনি। গত অর্থবর্ষে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৮৬ হাজার কোটি টাকা। এবারও সেই অঙ্ক অপরিবর্তিত। অথচ চাহিদা বেড়েই চলেছে।
শুধু ১০০ দিনের কাজ নয়, কৃষি ভর্তুকিতেও কোপ। সারের ভর্তুকি কমে হয়েছে ১ লক্ষ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। খাদ্যে ভর্তুকির বরাদ্দও কমেছে ২ হাজার কোটি টাকা। এলপিজি ভর্তুকি কাটা হয়েছে সাড়ে ২ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ায় পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়তে পারে।
অর্থমন্ত্রী অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন, ১০০ দিনের কাজ প্রকল্প চাহিদার ভিত্তিতে বরাদ্দ পায়। তবে বাজেট বক্তৃতায় প্রকল্পের নামই মুখে আনেননি তিনি। বরাদ্দ বাড়বে কি না, তার উত্তর মেলেনি। এই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। গ্রামবাংলার হতাশ মানুষ এখন শুধুই প্রতিশ্রুতির অপেক্ষায়।