বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে
ভারত তথা নরেন্দ্র মোদির সরকার কি চায়???? হিন্দু সমাজ যে সুরক্ষিত নয়……
বাংলাদেশে সুরক্ষিত নয় হিন্দু সংখ্যালঘু সমাজ। কখনো তাদের ধর্মীয় কারণে সরকারি চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ, তো কখনও আবার জোর করে ধর্মান্তরিত করা। এতকিছুর পর সব সময় প্রশ্ন উঠছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা কোথায়? কিন্তু উত্তর দেবে কে? কোথায় মিলবে উত্তর? সেটা জানা নেই। তবে সম্প্রতি ধর্মীয় মেরুকরণের মাধ্যমে সরকারি চাকরি থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বঞ্চিত করার প্রসঙ্গ নিয়ে তোলপাড় সে দেশ। এই নিয়ে সরব হয়েছে আওয়ামি লিগও। এই নিয়ে বিভিন্ন পোস্ট ভাইরাল হয়েছে ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশের হিন্দুদের যা পরিস্থিতি তার উপরে ভারতবর্ষের মোদি সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারের মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস উইং এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই সমস্ত অভিযোগ নাকি একেবারেই ভিত্তিহীন। গত বছরের অগস্ট মাসে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন। আর তার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলার খবর পাওয়া গেছে। নয়াদিল্লি এসব ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে এবং ঢাকাকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।
তবে, অনেকেই মনে করছেন শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মোদি সরকারের যে সিদ্ধান্ত সেই কারণেই বাংলাদেশের বর্তমান শাসক দল তথা অন্তর্বর্তী সরকারের আপত্তি রয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান পদে শপথ নেওয়ার পরেই মহম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে সেখানকার হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার বার্তা দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তারপর থেকে যত সময় গড়িয়ে গিয়েছে ততই বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের মাত্রা যেন দিনের পর দিন বেড়ে চলেছে।
খুন থেকে শুরু করে রাহাজানি ধর্ষণ কোন কিছুই বাদ নেই। কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসতে গিয়ে পুলিশের জালে ধরা পড়া হিন্দুদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, শুধুমাত্র বাংলাদেশের হিন্দুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য শান্তির বার্তা দিয়েই কি ভারতের মোদি সরকারের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? আরো কিছু করণীয় রয়েছে? হ্যাঁ, প্রশ্ন উঠে এমনই। তবুও মোদি সরকারের আগামী পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ।
