বাঘাযতীনের হেলে পড়া চারতলা ফ্ল্যাটের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। জলাভূমি বুজিয়ে তৈরি এই বহুতল ভবন ধসে পড়ার ঝুঁকিতে থাকায়, অবশেষে ফ্ল্যাট ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর।
২০১০ সালে নির্মাণ শুরু হওয়া এবং ২০১৪ সালে হস্তান্তরিত হওয়া এই ভবনটি একসময় দুই ফ্ল্যাট বিশিষ্ট চারতলা ভবন ছিল। দীর্ঘদিন ধরে ফাটল দেখা দিলেও তা মেরামত করা হয়নি। ১৭ ডিসেম্বর থেকে প্রোমোটার ভবনটির সংস্কারের কাজ শুরু করলে আবাসিকদের অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়। সৌভাগ্যবশত, ফ্ল্যাটে কেউ না থাকার কারণে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।বর্তমানে বিপর্যয় মোকাবিলা দল, দমকল, পুলিশ, ও পুরসভার কর্মীরা ভবন ভেঙে ফেলার কাজ করছেন। প্রথমে কর্মীরা জানালা দিয়ে ভবনে ঢুকে ভাঙার প্রস্তুতি নিয়েছেন। জেসিবি দিয়ে দ্রুত ভাঙার কাজ চালানো হচ্ছে। তবে ভবনটি ভেঙে ফেলার আগে আবাসিকদের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সরানোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, প্রোমোটার ও নির্মাণ সংস্থার অবহেলার কারণেই এই বিপর্যয় ঘটেছে। ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনতলার অনুমতি থাকা সত্ত্বেও চারতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছিল। তিনি দাবি করেছেন, সংশ্লিষ্ট প্রোমোটারকে গ্রেফতার করা হোক।৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও যাদবপুরের বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানান, অনুমতি ছাড়াই ভবনটির নির্মাণ কাজ করা হয়েছিল। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফ্ল্যাট ক্রেতাদের মধ্যে ভবিষ্যতের নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।