জীবনের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আর ফেরা হল না সমর কুমার চাকির! তিনি একজন প্রবীণ মোহনবাগান সমর্থক। রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছিলেন তিনি। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মোবাইল ফোনে চোখ রেখেছিলেন শুভাশিসদের খেলা দেখার জন্য। ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান এই দুটি ক্লাবের সমর্থকরা নিজেদের ক্লাবকে জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। সেই তালিকারই একজন সদস্য হলেন সমর বাবু। হাসপাতালে বেডে শুয়েও প্রিয় ক্লাবের খেলা মিস করতে চাননি তিনি। দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে তিনি যাতে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেই প্রার্থনা করেছিলেন সকলে। কিন্তু প্রার্থনা গেল ব্যর্থ হয়ে।
মাত্র ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই না ফেরার দেশে সমর চাকি। সম্প্রতি মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই কথা জানানো হয়েছে। শেষ যাত্রায় তাঁর শরীর ঢেকে দেওয়া হয় সবুজ মেরুন পতাকা দিয়ে। সমর বাবুকে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মোহনবাগানের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিস রায়।
উল্লেখ্য, শনিবার কলকাতা ময়দানের দুই প্রধান মোহনবাগান এবং মহামেডান মুখোমুখি হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়েও সেই খেলা দেখছিলেন সমর বাবু। প্রিয় দলের খেলা বলে কথা, শারীরিক কষ্টকে উপেক্ষা করেও তাই খেলা দেখার লোভ সামলাতে পারেনি তিনি। বাঙালির ফুটবল আবেগের নবতম সংযোজন এই ঘটনা। মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেজে এই ভিডিও পোস্ট করা হয়। মুখে অক্সিজেন মাখ লাগিয়ে স্যালাইন চলাকালীন সেই প্রবীণ সমর বাবুকে মোহনবাগানের খেলা দেখতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তিনি চলে যাবেন এই কথা কেউ ভাবতে পারেননি।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগে গলার স্বরও হারিয়ে ফেলেন। অবশেষে গত ৩০ শে জানুয়ারি কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সমর বাবুকে। চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা চালিয়ে গেলেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। ৬৮ বছর বয়সে হয়ে প্রয়াত হলেন সমর চাকি।