মহাকুম্ভের পদপিষ্ট কাণ্ডে ৩০ জন পূণ্যার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি। কিন্তু এত বড় একটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের দায় কে নেবে? উত্তরপ্রদেশ সরকার কি এবারও দায়িত্ব এড়িয়ে যাবে? প্রশাসনের দাবি, তারা তদন্ত চালাচ্ছে, সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করছে। কিন্তু মোবাইল নম্বর বিশ্লেষণ করেও ১০০০-এর বেশি নম্বর ট্রেস করা যাচ্ছে না! এটাই প্রমাণ করে, কতটা চরম বিশৃঙ্খলা চলেছে ওই দিন সঙ্গমে। তাহলে কি সত্যিই ষড়যন্ত্র ছিল, নাকি সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এই মৃত্যুর কারণ?
মৌনী অমাবস্যার দিন কোটিরও বেশি পূণ্যার্থী কুম্ভ সঙ্গমে জড়ো হয়েছিলেন। সরকারের কি এতটুকু দায়িত্ববোধও ছিল না যে, এত বিশাল জমায়েত নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা? ব্যারিকেড কেন ভাঙল? নিরাপত্তা বাহিনী কোথায় ছিল? কেন আগে থেকে সতর্কতা নেওয়া হয়নি? কেন পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়নি? এখন তদন্তের নামে শুধুই সময় নষ্ট চলছে, কিন্তু আসল দোষীদের শাস্তি কি আদৌ হবে?
পুলিশ এখন বলছে, তারা কন্ট্রোল রুমের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজির সাহায্যে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ১০০০ মোবাইল নম্বর ট্রেস করা যাচ্ছে না কেন? তারা কি নিখোঁজ, নাকি ইচ্ছে করেই তথ্য গোপন করা হচ্ছে? সরকারের গাফিলতি ঢাকতে এবারও কি তদন্তের নাটক চলছে?
এই দুর্ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, চার চাকার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, পুলিশি টহলদারি বেড়েছে। কিন্তু এত কিছুর প্রয়োজন এখন কেন? যখন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, তখনই কি প্রশাসনের ঘুম ভাঙে? আগে কেন এই সতর্কতা নেওয়া হয়নি?
এই পদপিষ্ট কাণ্ড শুধুই দুর্ঘটনা নয়, এটি প্রশাসনিক ব্যর্থতার চরম নিদর্শন। সরকারের দায়িত্ব ছিল এত বড় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা, কিন্তু তারা চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ১০০০ মোবাইল নম্বরের হদিস নেই, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর সরকার শুধু তদন্তের বুলি আওড়াচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিত দায় স্বীকার করা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানো।কিন্তু তা কি আদৌ হবে? নাকি কয়েকদিন পর সব ভুলে গিয়ে প্রশাসন ফের নিশ্চিন্তে ঘুমোবে?