মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করেছেন। এই হামলার মাধ্যমে ২৪ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং একাধিক সাধারণ নাগরিক আহত হয়েছে। মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ থেকে যুদ্ধবিমান ও ড্রোনের মাধ্যমে হুথি ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে। ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “ইরান যদি আমেরিকাকে হুমকি দেয়, তাহলে আমেরিকা কোনও নমনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।”
এই সামরিক হামলার পর, ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করেছেন, যাতে তারা হুথিদের সাহায্য বন্ধ করে দেয়। হুথি বিদ্রোহীরা বিভিন্ন দেশীয় জাহাজে একাধিক হামলা চালিয়ে আসছে এবং তাদের গাজায় হামাসের প্রতি সমর্থন থাকার দাবি করেছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযান কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। এটি ট্রাম্পের প্রশাসনের সবচেয়ে বড় সামরিক পদক্ষেপ, যা তার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে ঘটল।
হুথি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সানা শহরের মার্কিন হামলায় অন্তত ১৩ জন সাধারণ নাগরিক নিহত এবং ৯ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে, ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় সা’দা প্রদেশে আরও একটি হামলায় ৬ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৪টি শিশু এবং ১টি নারী রয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হামলা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইরানের প্রতি এক প্রতিক্রিয়া, যেখানে ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত নয়। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা অবশ্য তাদের সামরিক বাহিনীকে মার্কিন হামলার জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে ঘোষণা করেছে।
