পাকিস্তানে ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত জইশ-ই-মহম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈবার একাধিক জঙ্গির রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে এই দুই সংগঠনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি খুন হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই ঘটনার পেছনে বড়সড় ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গত কয়েক মাসে জইশ ও লস্করের অন্তত ১০ জন শীর্ষ জঙ্গি খুন হয়েছে। করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জঙ্গিদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে অথবা বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে খুন করা হয়েছে।
জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও লস্করের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা আবু হামজা সম্প্রতি করাচিতে গুলির আঘাতে নিহত হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, অজ্ঞাত আততায়ীরা মোটরবাইকে এসে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই রাওয়ালপিন্ডিতে লস্করের অপর এক নেতা আব্দুল মালিককেও একইভাবে হত্যা করা হয়।
গোয়েন্দা মহলের মতে, এই হত্যাকাণ্ডগুলির পেছনে কোনও সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র কাজ করছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর ভেতরেই ভাঙন ধরার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির পাল্টা অভিযানের তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতবিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে পাকিস্তান।
এই ঘটনার পর থেকেই পাকিস্তানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। জইশ ও লস্করের বাকি নেতাদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। তবে রহস্যজনক এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সত্য এখনও অজানা। গোয়েন্দা সংস্থাগুলি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছে।