পরিতোষ সাহা: বিশ্বভারতী
দীর্ঘ ৬ বছর পর শৃঙ্খল থেকে মুক্ত পেল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস।খুলে দেওয়া হল পর্যটকদের জন্য।এতদিন পর্যটকেরা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার কোন অনুমতি ছিল না।২০১৯ সাল থেকে এই ক্যাম্পাস পর্যটক বা সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।তাতে সিলমোহর দিয়েছিলেন।তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।তা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।তাতে কর্ণপাত করেননি উপাচার্য।কিন্তু বর্তমান উপাচার্য ডঃপ্রবীর কুমার ঘোষ বিশ্বভারতীর দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।তাতে খুশি পর্যটকেরা।
উপাচার্য বলেন,“বিশ্বভারতী ২০২৩ সালে ওয়ার্ল্ড লিভিং হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। আর হেরিয়েজের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে ট্যুরিজম। সেটার মেলবন্ধন আবশ্যিক।তার জন্যই পর্যটকদের জন্য বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস মুক্ত করে দেওয়া হল।”তিনি মনে করেন,“রবীন্দ্রনাথের ভাবনা ছিল মুক্ত।তাই বিশ্বভারতী কোন ঘেরার মধ্যে থাকতে অভ্যস্ত নয়।তাই এই পদক্ষেপ।তবে আগে কী হয়েছে তা নিয়ে তিনি কোন মত প্রকাশ করবেন না।”
তিনদিনের মাথায় বর্তমান উপাচার্য ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী ডঃপ্রবীর কুমার ঘোষের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকেরা।বিশ্বভারতীতে আসা পর্যটক পাপিয়া সাঁতরা,বৈশাখী সর্বাগ্য বলেন,“ খুব ভালো খবর,এতদিন আমরা দূর থেকে বিভিন্ন ক্যাম্পাস দেখতাম।কাছে যেতে পেতাম না।এবার থেকে ফের আগের মতো গোটা ক্যাম্পাস দেখতে পাবো।”