চিনের তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনকে ঘিরে যা ঘটল তাতে ট্রাম্পের কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। আমেরিকার সঙ্গে তিন দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েনের মধ্যেই এসসিও সম্মেলনে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদি, ভ্লাদিমির পুতিন ও শি জিনপিংয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ আড্ডা, করমর্দন ও হাসিমাখা মুখ। রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনার জেরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারতের উপর বিপুল শুল্ক চাপানোর পর মোদি-জিনপিং নৈকট্যকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে এতে ভাল কিছু দেখছে না কংগ্রেস। তাদের দাবি, এটা আসলে ‘কথিত হাতির কথিত ড্রাগনের সামনে আত্মসমর্পণ’।
সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ লিখেছেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারত চিনের ওপর সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে দ্বিচারিতা ও ভণ্ডামির অভিযোগ তুলছে। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী মোদি শি জিনপিংকে বলছেন, ভারত ও চিন উভয়েই সন্ত্রাসবাদের শিকার। যদি এটি কথিত হাতির কথিত ড্রাগনের কাছে মাথা নত না হয়, তবে আর কী?”
কংগ্রেস নেতা আরও অভিযোগ করে বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথোপকথনের সময় অপারেশন সিন্দুরে পাকিস্তান-চিন যুগলবন্দি নিয়ে একটিও শব্দ উচ্চারণ করেননি। অথচ ভারতীয় সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
জয়রাম রমেশের অভিযোগ, তথাকথিত ‘৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি’ আসলে ফাঁপা। এই নেতাকে আজ সকলে বুঝতে পারছেন। তাঁর অভিযোগ, গালওয়ান সংঘর্ষের পর তিনি ১৯ জুন, ২০২০-তে চিনকে ক্লিনচিট দিয়ে জাতীয় স্বার্থের বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট ইতিহাসে নথিভুক্ত হল তিয়ানজিনে তাঁর কাপুরুষোচিত মাথানতের দিন হিসেবে।
