জিএসটির কর স্ল্যাবের পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন জিনিসের দামের উপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে চলেছে। করের হার পরিবর্তন হওয়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেকটাই কমতে চলেছে। একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস, ওষুধ, ছোট গাড়ির উপর জিএসটি হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিএসটি কাউন্সিল। জিএসটির হার পরিবর্তনের ফলে পনির, পিজ্জা ব্রেড, ইউএইচটি দুধ, রুটি, খাগড়া, পরোটা এখন পুরোপুরি করমুক্ত। অন্যদিকে ঘি, মাখন, জ্যাম, চিজ, স্যুপ, পাস্তা, সস, নোনতা খাবার ও কনফেকশনারির উপর ১২ থেকে ১৮ শতাংশের বদলে মাত্র ৫ শতাংশ কর ধার্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৫ শতাংশ করের আওতায় এসেছে কাজু, পেস্তা, বাদাম, খেজুর এবং লেবু জাতীয় ফল। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত জিনিসের দাম কমতে চলেছে।
জীবনদায়ী ওষুধ যেমন অ্যাগালসিডেস বিটা, ওনাসেম্লোজিন, অ্যালেকটিনিবের মতো ওষুধ এখন সম্পূর্ণ করমুক্ত। অধিকাংশ ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, ব্যান্ডেজ, ডায়াগনস্টিক কিট, অক্সিজেন, থার্মোমিটারের উপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি ধার্য হবে।
নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের উপরেও জিএসটি কমানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মাথায় মাখার তেল, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, টুথব্রাশ, সেভিং কিট, ট্যালকম পাউডার, সাবান, মোমবাতি, দেশলাই কাঠি। এই সমস্ত জিনিসের ওপর এখন পাঁচ শতাংশ হারে জিএসটি আদায় করা হবে। জিএসটির হার কমায় দাম কমতে চলেছে পেনসিল, নোটবুক, শার্পনার, ইরেজার, খেলনা, হস্তশিল্প সামগ্রী, বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্রের।
২৮ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ করের আওতায় নিয়ে আসায় দাম কমছে সিমেন্ট, ট্রাক্টর, সাইকেল, ৩৫০ সিসির নীচের মোটরসাইকেল ও ছোটগাড়ির। অন্যদিকে করের হার বাড়ায় বেশকিছু জিনিসের দাম আবার বাড়তে চলেছে। যার মধ্যে আছে গুটখা, চিবানোর তামাক, পান মশলা এবং সিগারেট। এই সব পণ্যের উপর জিএসটি ২৮ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে। ক্যাফিনেটেড পানীয়, কার্বনেটেড সফট ড্রিঙ্কস এবং ফল-ভিত্তিক ফিজি ড্রিঙ্কসের উপর ৪০ শতাংশ কর ধার্য হয়েছে। ফলে এগুলির দাম বাড়ছে।
বিলাসবহুল সামগ্রী যেমন ১৫০০ সিসি-র বেশি ইঞ্জিনের এসইউভি, ৩৫০ সিসি-র বেশি মোটরসাইকেল, বড় গাড়ি, ইয়ট, ব্যক্তিগত বিমান, এমনকি রিভলভার এবং পিস্তলের উপরেও ৪০ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা হয়েছে। থলে এই সমস্ত পণ্যও দামি হতে চলেছে।
