ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষেই পাস হতে পারে নতুন ক্রীড়া বিল। যার নাম, ন্যাশনাল স্পোর্টস গভর্নেন্স বিল ২০২৫। বিলটি পাস হয়ে নতুন আইনে পরিণত হলে তার আওতায় চলে আসবে ভারতীয় বোর্ড ওরফে বিসিসিআই। অর্থাৎ এক কথায়, স্বায়ত্তশাসিত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এ বারে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে। যদি শেষমেশ আইনটি পাস হয় সংসদের উভয় কক্ষে।
২০৩৬ সালে দেশের মাটিতে অলিম্পিক আয়োজন করতে মরিয়া ভারত। তার আগে সমস্ত খেলাকে এক সূত্রে বাঁধতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে প্রতিটি খেলার জন্যই আলাদা আলাদা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা রয়েছে। তবে এ বার নয়া ক্রীড়া বিল পাসের মাধ্যমে প্রতিটি খেলাকেই একই আইনের আওতায় আনতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র। তাই সোমবার থেকে শুরু হওয়া বাদল অধিবেশনে আরও ৭ টি বিলের সঙ্গে পেশ হওয়ার কথা নয়া ক্রীড়া বিলটিরও।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
অলিম্পিকে ১২৮ বছর পর ফিরছে ক্রিকেট। লস অ্যাঞ্জেলেসে আগামী ২০২৮ সালে হতে চলা অলিম্পিকের ক্রিকেট ইভেন্টে অংশ নিতে পারে টিম ইন্ডিয়া। তাই স্বাভাবিকভাবেই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিসিসিআইকেও নতুন আইনের আওতায় আনতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, যেহেতু ক্রিকেটও এ বার থেকে অলিম্পিক স্পোর্টসের আওতাভুক্ত। তাই বহু বছর ধরে চলে আসা বিসিসিআইয়ের আধিপত্য কিছুটা খর্ব হতে চলেছে। এ বার থেকে তারা আর নিজেদের ইচ্ছামত চলতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের আর্থিক অনুদানের প্রয়োজন হয় না বিসিসিআইয়ের। একটি যথেষ্ট বিত্তশালী একটি সংস্থা। কিন্তু অলিম্পিকে অংশ নিতে হলে ক্রিকেট বোর্ডকে ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের অধীনেই আসতে হবে। কারণ, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ভারতীয় ক্রিকেটারদের ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবেই বিবেচনা করবে। এ দিকে এও জানা গিয়েছে যে, সংসদের বাদল অধিবেশনে পেশ হতে পারে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং বিলের সংশোধনীও।