ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসা নীতি রাতারাতি অনেকগুলো জটিলতার জন্ম দিয়েছে। এইচ-১বি ভিসা মানে শুধুমাত্র আমেরিকার পৃথিবীবিখ্যাত টেক কোম্পানিগুলোতে কিছু প্রতিভাবান ও দক্ষ কর্মীর কাজ করা নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানির বাণিজ্য ও বহু দেশের অর্থনীতি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রায় রাতারাতি ভিসা ফি আকাশছোঁয়া করে দেওয়ায় বড় কৌশলগত পরিবর্তনের পথে হাঁটতে চলেছে বিভিন্ন টেক কোম্পানি। মার্কিন কৌশল সামলাতে রিমোট ওয়ার্ক ও দেশীয় অপারেশনে জোর বাড়ানোর কথা ভাবছে কলকাতার টেক কোম্পানিগুলোর বড় ঠিকানা সেক্টর ফাইভও।
নতুন ভিসা নীতিতে একজন কর্মীকে স্পনসর করতে একটি কোম্পানির মোট খরচ হবে প্রায় ১ লক্ষ মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৮৩ লক্ষ টাকা। এই বিপুল খরচের মুখে পড়ে অনেক ছোট ও মাঝারি আকারের আইটি কোম্পানি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানোর পুরনো ধারা বাদ দিতে চলেছে বলেই জানা যাচ্ছে। তারা এখন কলকাতা থেকেই সম্পূর্ণ রিমোট টিমের মাধ্যমে মার্কিন ক্লায়েন্টদের পরিষেবা দেওয়ার দিকে ঝুঁকছে। এতে ভিসার খরচ ছাড়াই ভারতের প্রতিভা ব্যবহার করতে পারবে বিদেশি টেক কোম্পানিগুলো।
পাশাপাশি ভারত বা কলকাতা কেন্দ্রিক কার্যক্রমে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কোম্পানিগুলি এখন কলকাতাতেই তাদের কার্যক্রম শক্তিশালী করার দিকে নজর দিয়ে আরও বেশি ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ ও প্রশিক্ষণে বিনিয়োগ করছে। এতে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অন-সাইট থেকে পরিচালিত জটিল প্রকল্পগুলি এখানেই বসেই করতে পারবে। এই পরিবর্তন কলকাতার আইটি ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তবে এমনটা করা হলেও ট্রাম্পের নীতি অনেক ছোট আইটি সার্ভিস প্রোভাইডারের ব্যবসায় ভালই ধাক্কা দিতে চলেছে। কারণ অনেক সংস্থার প্রধান আয়ের উৎস ছিল মার্কিন ক্লায়েন্ট সাইটে কনসালট্যান্ট পাঠানো। বড় ও আর্থিকভাবে শক্তিশালী কোম্পানি এই খরচ সামলে নিলেও ছোট সংস্থাগুলো ধাক্কা খাবে অনেকটাই।
