বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর জন্য ক্রমশ চাপ বাড়ছে। সম্প্রতি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান ঢাকার রাওয়া ক্লাবে এক সভায় বলেন, “ভারত যদি শেখ হাসিনাকে ফেরত না দেয়, তাহলে অনুমতি নিয়ে ভারতে গিয়ে তাঁকে জেরা করবে কমিশন।”
তিনি দাবি করেন, ২০০৯ সালের বিডিআর হত্যাকাণ্ড কোনো বিদ্রোহ ছিল না; এটি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল। এ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বিডিআর, সেনাবাহিনী এবং দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা হয়েছে। তদন্তের আওতায় কাউকে বাদ দেওয়া হবে না, এমনকি শেখ হাসিনাকেও।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জন অভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা মসনদচ্যুত হন এবং ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকেই ঢাকা তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী। মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান বলেন, “আগামী দুই মাসে দেশের অভ্যন্তরীণ কাজ শেষ করে বিদেশি তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে।”
অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। তিনি বলেন, “তাঁরা যদি হাজির না হন, তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশ সরকারের এমন পদক্ষেপ স্পষ্ট করে যে, তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তবে এই পরিস্থিতি ভারত-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর কী প্রভাব ফেলবে, তা এখন সময়ই বলবে।
