বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারি এক সমাবেশে দুটি প্রধান শত্রুর কথা তুলে ধরেন – “মুজিববাদ” এবং “হিন্দুত্ববাদ”। তিনি দাবি করেন, এই দুটি শক্তিকে একযোগে মোকাবিলা করতে হবে। গত কয়েক মাসে বাংলাদেশে মুজিববাদ বিরোধী আন্দোলন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। পাটোয়ারির ভাষায়, “এটা আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে মুজিববাদ বিরোধী নানা আন্দোলন তীব্র হয়েছে। শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি ভাঙা এবং জাতির পিতার ছবি সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর ঘটনা সামনে এসেছে। সরকারের পক্ষ থেকে ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা এবং নতুন পটভূমিতে বাংলাদেশের রাজনীতি গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েক মাসে মন্দির ও হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর, চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগের ঘটনা এবং ধর্মান্তরের অভিযোগ সামনে এসেছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অভিযুক্ত হিসেবে সেনা সদস্যদের নাম উঠে এসেছে।
এদিকে, বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তির একাংশ ভারতের ইসকন মন্দির ও হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে সারজিস আলমের মন্তব্যও উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। এসব ঘটনার মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে উঠেছে, যার ফলে অনেক হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি বিএসএফের হাতে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী বেশ কয়েকজন হিন্দুকে আটক করা হয়, যার মধ্যে দুই বৃদ্ধা এবং এক নাবালিকা অন্তর্ভুক্ত। বিশেষ করে, নাবালিকাটির দাবি, তাকে বাংলাদেশে মৌলবাদীরা অপহরণ করার হুমকি দিয়েছিল এবং তাকে ভারতে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল।
এদিকে, ভারতে এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে এবং বাংলাদেশি মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে স্লোগান উঠেছে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে।