ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানগুলোর মধ্যে ড্রাগন ফ্রুট অত্যন্ত কার্যকরী। এতে প্রচুর ভিটামিন C, ভিটামিন E, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত ড্রাগন ফ্রুট খেলে বা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করলে ত্বকের টেক্সচার উন্নত হয় এবং বয়সজনিত বলিরেখার সমস্যা কমে।
ড্রাগন ফ্রুটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার জলীয় উপাদান ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে এবং শুষ্কতা দূর করে। শীতকালে ত্বক রুক্ষ হয়ে গেলে এই ফলের পেস্ট মুখে লাগালে তা স্বাভাবিক কোমলতা ফিরিয়ে আনে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, ফলে কৃত্রিম প্রসাধনীর প্রয়োজন কমে যায়।
অনেকেই ব্রণ ও ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভোগেন। ড্রাগন ফ্রুটের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ ব্রণের সংক্রমণ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের লালচে ভাব দূর করে এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্যও উপকারী।
ত্বকের কালচে ভাব, পিগমেন্টেশন বা সানবার্ন কমাতে ড্রাগন ফ্রুট অত্যন্ত কার্যকরী। এতে থাকা ভিটামিন C ত্বকের মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, যা দাগ-ছোপ কমিয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং স্বাভাবিক দীপ্তি ফিরে পায়।
ড্রাগন ফ্রুটের মাস্ক তৈরি করতে এটি ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে সরাসরি মুখে লাগানো যায়। একে দই বা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। এটি ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করে এবং নতুন কোষ গঠনে সহায়তা করে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও দাগহীন।