মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্যালাইন বিতর্ক ঘিরে আবারও মর্মান্তিক ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ রেখা সাউয়ের সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শিশুটিকে জন্মের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। রেখা এবং তাঁর স্বামী সন্তোষ সাউ তাঁদের সন্তানকে একবারও দেখতে পাননি। শিশুটির ঠাকুমা পুষ্পা সাউ একবার তাঁকে দেখেছিলেন। মৃত্যুর পর শিশুটির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রেখা সাউ সহ আরও চার প্রসূতি, মামনি রুইদাস, মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিন—গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যালে সন্তান প্রসব করেন। এর কিছু পরেই তাঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তাঁদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ প্রয়োগের কারণেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যে, মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়েছে এবং বাকিদের কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসূতিদের চিকিৎসা ব্যবস্থার মান এবং স্যালাইনের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর মেডিক্যালে ব্যবহৃত স্যালাইন পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যাল নামে একটি সংস্থার, যাদের পণ্য এর আগে কর্নাটকে মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। ইতিমধ্যে ওই সংস্থার পণ্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু এর মাঝেই এই মৃত্যুগুলি সাধারণ মানুষের মনে ভয়ের ছাপ ফেলেছে এবং রাজ্যের হাসপাতালগুলির সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।