
মঙ্গলবার ত্রিপুরায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগ। সূত্রের খবর, ডুয়ার্সে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের উপর হামলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর এবার ত্রিপুরার আগরতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে পাল্টা হামলা। তবে কি এভাবেই বদলা নিল গেরুয়া শিবির?
এদিকে বাংলায় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্ব।
অন্যদিকে আগরতলায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের ত্রিপুরা কার্যালয়ে বিজেপি-সমর্থিত দুষ্কৃতীদের নৃশংস হামলা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় — এটি গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত। ক্ষমতাসীনরা যখন তাদের বিরোধীদের স্তব্ধ করতে হিংসাকে হাতিয়ার করছে, তখন তারা শক্তি নয়, নিজেদের ভয় ও নৈতিক দেউলিয়াকেই প্রকাশ করছে।
বিজেপি মুখে বলে “গণতন্ত্র বাঁচাও”, অথচ একের পর এক রাজ্যে তার ভিত্তিটাকেই জ্বালিয়ে দিচ্ছে। তারা অফিস ভাঙতে পারে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলতে পারে, কর্মীদের ভয় দেখাতে পারে — কিন্তু তারা কখনও মুছে দিতে পারবে না সেই প্রতিরোধের চেতনা, যা প্রতিটি তৃণমূল কর্মীর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বইছে। আমরা চুপ থাকব না। আমরা পিছিয়ে যাব না।
ত্রিপুরা ও ভারতের বাসিন্দারা সবকিছু দেখছে।’
তৃণমূলে সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই হামলার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।
এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন,
বাংলায় ব্যালট বক্সে আমাদের হারাতে না পেরে, যেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। ত্রিপুরা পুলিশের সামনে ওদের কার্যকর্তারা আমাদের পার্টি অফিসে হামলা চালিয়েছে। এবারই প্রথম নয়, ২০২১ সালে বিজেপির ভাড়া করা গুন্ডারা আমার কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল। আগামীকাল পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল বাংলা থেকে ত্রিপুরায় যাবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।