শনিবার ছিল কার্গিল বিজয় দিবস। সেদিনই সেপ্টেম্বরে আসন্ন এশিয়া কাপের সূচি ঘোষণা করেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। যেখানে দেখা গিয়েছে, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর মুখোমুখি হবে ভারত-পাকিস্তান। এ দিকে এই সূচি প্রকাশ্যে আসতেই চূড়ান্ত ক্ষিপ্ত মহম্মদ আজহারউদ্দিনের মতো প্রাক্তনীরা। এ বার তাঁদের সুরে সুর মেলালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তাঁর মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ খেলার অর্থই হল শহিদদের অপমান করা।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্রিকেট বন্ধের ডাক দিয়েছিলেন খোদ ভারতীয় কোচ গৌতম গম্ভীর। এরপর সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডসেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামেননি শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিংরাও। এ বার অভিষেকও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ছায়া যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছে। তবু খেলাকে রাজনীতি থেকে পৃথক রেখে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা হয়েছে। কিন্তু এ বার আর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখা উচিত নয় ভারতের।
সোমবার এশিয়া কাপে পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে সামাজিক মাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ। সেখানে রীতিমতো আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তিনি লিখেছেন, “শহিদের রক্ত মুছে দেওয়ার ক্ষমতা ক্রিকেট পিচের নেই। ব্যাট-বলের কারণেও তিরঙ্গা ওড়ে না। ভারতের জাতীয় পতাকা ওড়ে সেনার অদম্য সাহসের জন্য।” আরও লেখেন, “একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে দেখা হবে পাকিস্তানের সঙ্গে। সেখানে পাক অধিকৃত কাশ্মীর জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে ভারত।”
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের সঙ্গে একই গ্রুপে পড়া নিয়ে সরব বিরোধীরাও। একাধিক বিরোধী সাংসদ এ নিয়ে সমালোচনায় ধুইয়ে দিয়েছেন বিসিসিআইকে। অভিষেকও বলেন, “আমি ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের সম্মান করি। কিন্তু যখন মাঠে খেলা হয়, তখন আমাদের সেনার রক্ত ঝরে। যে দেশ আমাদের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, তাদের সঙ্গে করমর্দন করাটা কখনওই কূটনীতি হতে পারে না। আসলে সেটা বিশ্বাসঘাতকতা, বিনোদন নয়। আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত বিচার। আর তার থেকে কম কোনও কিছুর অর্থই হল শহিদদের অপমান।”