তৃণমূল কংগ্রেসে ভরতে উত্তাপ বাড়ালেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। কয়েকদিন আগেই শোকজের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করে কড়া ধমকও খেয়েছিলেন। এবার দলের সিনিয়র নেতা ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে সরাসরি আক্রমণ করলেন হুমায়ুন। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কর্মীদের উদ্দেশে ফিরহাদ বলেন, “বাজে মানুষের সঙ্গ ত্যাগ করে সৎ মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে।” এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক শুরু হয়। ফিরহাদের বক্তব্যের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, “শুধু উপদেশ দিলেই হবে না, কাজেও করে দেখাতে হবে। দলের কর্মীদের সৎ সঙ্গ শেখাতে কর্মশালার আয়োজন করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “ফিরহাদ হাকিম যদি নিজে কাজ করে দেখান, তাহলে বুঝব উনি যা বলছেন, তা নিজের জীবনেও প্রয়োগ করেন।” মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নির্দেশনার প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেও ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্যে সরাসরি আঘাত করেন হুমায়ুন। এর আগে ফিরহাদ হাকিম সংখ্যালঘু ইস্যুতে এক মন্তব্য করেছিলেন, যা নিয়ে হুমায়ুন বলেছিলেন, “ওঁকে কোরান পড়তে বলব। আল্লাহ এক শব্দে বিশ্ব সৃষ্টি ও ধ্বংস করতে পারেন।”
দলের অন্দরে হুমায়ুন কবীরের এই আক্রমণ ফের বিতর্ক উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা পাওয়ার পরও এই ধরনের মন্তব্যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব চিন্তিত। তৃণমূলের অন্দরমহলে এখন প্রশ্ন উঠছে, হুমায়ুন কবীরের এই প্রকাশ্য বিদ্রোহ দলের ঐক্য ও শৃঙ্খলার উপর কতটা প্রভাব ফেলবে।